তোকমা দানার উপকারিতা ,Basil Seed

তোকমা দানার উপকারিতা এবং তোকমা খাওয়ার নিয়ম

তোকমা দানার উপকারিতা। তোকমা দানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি  খাবার। পেটের ব্যাথা, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।  শরীরের শক্তিও সরবরাহ করতে তোকমার ভূমিকা রয়েছে। এক মুঠো তোকমা দানা বাদাম, শুকনো ফলের সঙ্গে মিশ্রণ তৈরি করে খেলে দীর্ঘক্ষণ আপনাকে ক্ষুধামুক্ত রাখবে।

দামে কম হলেও তোকমায় রয়েছে প্রচুর পুস্টিগুন। এতে রয়েছে  কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন,  সামান্য পনিমানে ফ্যাট এবং প্রচুর পরিমান ফাইবার। পাশাপাশি রয়েছে  ওমেগা-৩, ফ্যাটি এসিড ইত্যাদি,  এছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ও সামান্য ভিটামিন সি।

১) তোকমা দানা ওজন কমায়

আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ তোকমা দানা ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী। এছাড়া এতে থাকা ফাইবার ক্ষুদা কমায়। ফলে আমাদের ক্যালোরি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

২) তোকমা দানা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।

৩) তোকমা দানা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অম্লতা দূর

মূলত পানি কম খাওয়ার কারনে কিংবা আমাদের শরীরে পানির মাত্রা কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তোকমা পানিতে ভেজানোর ফলে এতে প্রচুর পানি যুক্ত হয় এবং আমাদের পেটে জমে থাকা আস্তরণ নরম করে এবং অন্ত্রের গতিবেগকে উৎসাহ দেয়। পাশাপাশি এটি আমাদের অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

৪) তোকমা দানা কাশি ও সর্দি নিরাময়

তোকমা দানা আমাদের স্পাসাম্যাটিক পেশীগুলি প্রশমিত করে এবং তাদের শিথিল করতে সহায়তা করে। যা হুপিং কাশি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৫) ত্বক ও চুল

নিয়মিত তোকমা দানা খেলে আপনার শরীরে কোলাজেন নিঃসরণে সহায়তা করে যা ত্বকের নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং স্কিন আরও বেশি সতেজ করে তোলে। এছঅড়াও ভিটামিন-কে, আয়রন ও প্রোটিন এই সকল উপাদান তোকমায় বিদ্যামান থাকায় চুরের যত্নে বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও তেকমা দানার দানার অ্যান্টিঅএক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের জন্য বিশেষ উপকারী।

পানি তে ভিজিয়ে রেখে তোকমা খাওয়ার প্রচলনটাই বেশি। তবে ভিবিন্ন শরবত বা স্মুদির সাথে তোকমা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ফালুদার সাথেও তোকমা মিশানো হয়। তোকমা, ইসুবগুলের ভুসি চিয়া সিড মিশিয়ে শরবত তৈরী করে খাওয়া যেতে পারে।

তোকমা দানা মূলত দক্ষিন এশিয়াতে বেশি চাষ হয়। থাকে। এগুলো দেখতে কিছুটা চ্যাপ্টা গোলাকার ও কালো রংয়ের হয়ে থাকে। অনেকে তোমার  এবং চিয়া সীড কে একই মনে করে এটি আসলে ভুল ধারন। চিয়া সীড  আর তোকমা সম্পূর্ন দুটি আলাদা বীজ। চিয়া সীড সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে আমাদের ্চ্যানেলের চিয়া সীড নিয়ে করা একটি ভিডিও দেখতে পারেন।

Tags: No tags

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.