কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস এর উপকারিতা এবং কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

কিসমিস এর উপকারিতা অনেক। আজ আলোচনা করবো কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও কিসমিস এর উপকারিতা। কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। কিসমিস দেখতে কালো এবং সোনালী রংয়ের হয়। সবজ আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরী হয় গোল্ডেন রঙের কিসমিস আর কালো আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরী হয়  কালো কিসমিস।  বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কিসমিস  উত্পাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় অথবা বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে বা  রান্নার উপকরণ সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এটি প্রাচীনকাল থেকে ব্যাবহারে হয়ে আসছে।  শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করে কিসমিস

কিসমিস

কিসমিস  শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লোহিত কণিকার বৃদ্ধি করে। তবে শুকনো কিসমিস খাওয়ার বদলে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রোজ কিসমিসের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।

এছাড়া, কিসমিস হৃদক্রিয়া ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিসমিসে রয়েচে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ । এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর আছে প্রচুর  পরিমানের আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।

কিসমিস থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের কোন ক্ষতিও করে না। হাই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা বশে রাখে।  শুকনো কিসমিস বা ভেজানো কিসমিস যেমন উপকারী তেমনি কিসমিস ভেজানো পানিও বেশ উপকারী।

কিসমিসের উপকারিতা

  1.  মস্তিষ্কের জন্য : কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। বোরন ধ্যান বাড়াতে সহায়ক। ফলে কাজে মনোযোগ বাড়ে। এটি বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনো
  2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভেজানো কিসমিস বেশ উপকারী।  ভেজানো কিসমিসে রয়েছে আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়।
  3. চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী : কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন-এ ও বিটা ক্যারোটিন। যা চোখেরকিসমিস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ।
  4. ভেজানো কিসমিস প্রতিদিন সকালে খারি পেটে খেলে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কিনা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। রাতে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে  শরীরের পরিপাকক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।
  5. হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধন : কিসমিসে পাওয়া যায় আরো এক উপাদান, ক্যালসিয়াম, যা হাড় ও দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজন।

কিসমিস খাওয়া যেমন উপকারি একইভাবে বেশি পরিমাণে কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। কিসমিস ফ্রুকটোজের পাশাপাশি গ্লুকোজ সমৃদ্ধ। যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত খেলে শ্বাসকষ্ট, বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে
পারে। তাই কম করে কিসমিস খান প্রতিদিন।

Tags: No tags

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.